Codes
Answers
Find WebGL 2.0 Prototype and click enableyhxtgsgyhdgjsdrfudtfshfudfgsiergikustfgyswhwunsjaucfjhsauj
দিয়ে তাই তাসময় মানুষকে ই করায় যা যা সে করার ইচ্ছে পোষন করে না অথবা কখনও কখনও ইচ্ছে করে তা করতে । মানুষের শৈশব , কৈশোর , ভরা যৌবন আর তারুন্যের উম্মাদনায় এক সময় সে নিজেকে শক্তিশালী , স্বাবলম্ভী , স্বনির্ভর আর আত্নপ্রত্যয়ী ভাবতে খুব ভালো লাগে । তারুন্যের উম্মাদনায় কিংবা আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা এক সময় অনেক জঠিল জঠিল কাজও সহজেই সম্পন্ন করতে সক্ষম হই । জাগতিক , শারিরিক , কায়িক পরিশ্রম , আল্লাহর ইবাদত , আধ্যাত্নিক সাধনাও আমরা একটা বয়সে সহজেই করে নিই । শারিরিক স্বক্ষমতা , আর্থিক স্বচ্ছলতা আমাদেরকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করে । নব্বইয়ের দশকে এই আমি পায়ে হেঁটে হেঁটে অনেক দূর দূরান্তের পথ পাড়ি দিয়েছি , মামার বাড়ি, ফুফুর বাড়ি , খালার বাড়ি , বোনের বাড়ি সহ সকল আত্নীয় স্বজনদের বাড়ি তখন পায়ে হেঁটেই যেতে হতো । নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আমি ধর্মীয় কর্মকান্ডে একটু বেশিই ঝুকেছিলাম । নিয়মিত নামাজ রোযা সহ আনুসঙ্গিক বিষয়ে বেশ কিছু সময় ব্যয় করতাম । আমার প্রতিবেশি ছোট ভাইয়ের সমবয়সীদের অনেককেই নামাজে নিয়ে যেতাম কিংবা মসজিদের পরিবেশে তাদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করতাম , যে কারনে নিজ পরিবার সহ সমাজের অনেকেই আমায় নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করত । আবার কেউ কেউ এটিকে ভাল দৃষ্টিতে ও দেখত । আমার জীবনের সবচেয়ে ভাল সময় গুলো আমি তখনই অতিবাহিত করেছি , যদিও তখন আমাকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গিয়ে কখনও নিজেকে উপবাস কিংবা অর্ধ উপবাসের সম্মুখীন হতে হয়েছে , নিজেকে নিজের পরিবার ছেড়ে অন্যত্র হালাল জীবীকার জন্য কষ্টের কাজ করতে হয়েছে , একটা সময় এসে দেখলাম এখানেও অনেকে অর্থ প্রতিপত্তি আর বাহ্যিক যোগ্যতা কে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে , মুখের কথা আর বাস্তবতায় অনেকটাই তফাৎ দেখলাম অনেক বাড়তি নামাজ রোযা করা কতিপয় লোকেদের মাঝেও , বয়ানে মাশাল্লাহ আল্লাহর প্রতি এত গভীর বিশ্বাস , কিন্তু বাস্তবে এদের কেউ কেউ দুনিয়া ছাড়া যেন পঙ্গু প্রায় । আর এদের মধ্যে যারা সত্যিকার অর্থেই আল্লাহতে গভীর বিশ্বাসী তাদের কে পাগলের তকমাটাও এই বড় বড় বয়ান ওয়ালারা দেয় । অতচ এই পাগলদেরও কিন্তু এই বড় বড় বুজুর্গরাই এই মসজিদের পরিবেশে নিয়ে আসছিল । এই লাইনে আমাকেও এভাবেই সংযুক্ত করা হয়েছিল । আমিও একটি সুস্হ সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে এই লাইনে থাকতে চেয়েছিলাম , নিজের কর্মজীবনকে ধর্মীয় অনুশাসনে বাঁধতে চেয়েছিলাম । কিন্তু মিথ্যে আশ্বাস দেয়া কতিপয় বুজুর্গদের চিনতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম । এক দুই তিন বছর কেউ আমাকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে দিয়ে আমার জীবন থেকে অনেক গুলো সময় নষ্ট করতেও দ্বিধা করেনি । আসলে জাগতিক বিষয়গুলো যথাযথ সম্পন্ন করার জন্য যেমন সঠিক জ্ঞানরে প্রয়োজন তেমনি ধর্মীয় বিষয় গুলো যথাযথ সম্পন্ন করার জন্যও যে সঠিক জ্ঞানরে প্রয়োজন আছে তা তখনই বুঝা যায় যখন আবেগ তাড়িত লোকগুলোর দ্বারা ধর্মের কাজ গুলো ভূল ভাবে উপস্হাপিত হয় ।
আজ আমি সম্পূর্ণ এক ভিন্ন জীবনাচারের এক লোক । সংসার জীবন , জীবীকা অন্বেষন ব্যতিত যেন আমার আর কোন দায়বোধই নেই । একরে পর এক আর্থিক ঋণ , চাহিদা আর প্রয়োজন যেন আমায় আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ পালন থেকে দিন দিন দূরে সরিয়ে নিচ্ছে ।সংসারে এহেন কঠিন মোকাবেলায় আমি বশে কয়েকবার ধর্মচ্যুত হতেও চেয়েছি কিন্তু যখনই মনে হলো আমি আমার ধর্মকে নয় বরং নিজের জন্ম দাতা ও জন্ম দাত্রী কে ত্যাগ করার ইচ্ছে পোষন করছি আর তখনই শত অভাব অনটন আর ঋণের বোঝা থাকা স্বত্তেও আমি তা করিনি হয়ত আমার আল্লাহ আমায় সত্যিই ভালোবাসেন তা না হলে আমার মতো একজন লোভীকে তিনি এমন সর্বনাশা কাজ হতে ফিরিয় আনতেন না । তিনি সত্যিই অসীম দয়ালু ও মহানুভব । আমি বেশ কজন সত্যিকারে মানুষ দের নিকট চির ঋণী ও কৃতজ্ঞ । তারা সতিৗকার অর্থেই মানবতার কল্যান কামী , ঢাকার সাজনুশ ভাই , আমার এলাকার জামাল ভাই আসলেই এরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ই কাজ করেন । এখনও আমি আমার সংসার পরিচালনায় একবারেই অনুপুযুক্ত , শারিরিক যে সমস্যা নিয়ে আমি দীর্ঘ ১৫ টি বছর অতিবাহিত করেছি তার পেছনে আমার সহধর্মীনির অবদান আমি কখনই অস্বীকার করতে পারবো না । ঢাকার সাজনুশ ভাই আমার রক্তের কেউ না তবুও তিনি আমার খোঁজ নেন ,মাঝে মধ্যে কিছুটা সহায়তা করেন , আরও অনেকেই আমায় এরকম সহায়তা করে চিরঋণী বানিয়ে রেখেছেন ।
আজ আমি কোমর ও পায়ের অসহনীয় ব্যাথা নিয়ে যে উপার্জন করছি তাতে আমার চার সদস্য নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার কথা না , আমার সহধর্মীনি আমার এই অক্ষমতায় আমার সাহায্যকারী হিসেবে সংসারের হাল ধরেছে , অতচ রাষ্ট্র বা সমাজ কখনও জানতে চায়নি আমার কি অবস্হা ? কিভাবে আমাদের জীবন যাপন অতিবাহিত হচ্ছে ?
অনেক আর্থিক ঋণ আর অসম্পূর্ণ দায়িত্বের ব্যর্থতা নিয়ে হয়ত আমাকে এই ইহজগত ছাড়তে হবে ?
পাওনাদারদের ধ্বিক্কার আর পরিবারের লোকেদের আফসোস হয়ত আমার কবরকেই অনুশোচনার এক অগ্নিকুন্ড বানাবে ? মানুষ হওয়ার অপূর্ণতা ই আমার সারাজীবনের অর্জন কিংবা চেষ্টা । তাই বলে কি পৃথিবী থেমে থাকবে ?
Questions
Answers
Answer accepted
Users
Copyright © 2021 Codeinu
Forgot your account's password or having trouble logging into your Account? Don't worry, we'll help you to get back your account. Enter your email address and we'll send you a recovery link to reset your password. If you are experiencing problems resetting your password contact us